-
-
কর্মযোগী বিবেকানন্দ
পুরঞ্জনপ্রসাদ চক্রবর্তী
ধর্ম বলতে স্বামীজি কোনো বিশেষ মতবাদকে বোঝাতে চান কি না, সে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, ‘সব ধর্মের সংকীর্ণতা দূরীভূত করে এক উদার মানবধর্ম প্রচার করার জন্য শ্রীরামকৃষ্ণদেব ধরাধামে আবির্ভূত হয়েছিলেন_আমি শুধু সে কথাটিই প্রচার করতে চাই। আমার মতে ধর্ম যদি মানুষের অন্তরে শক্তি জোগাতে না পারে, তবে তা ধর্মই নয়।’ প্রকৃত অর্থে তথাকথিত অচলায়তন ধর্মের প্রতি প্রবল অনাস্থাতেই বিশ্বপরিব্রাজক এই সন্ন্যাসী মানবসেবার কর্মযজ্ঞে নিবেদন করেছিলেন নিজেকে। মানবতাবাদী এই মহাজনের বহু আলোচিত জীবনালেখ্যকে এক নতুন বাকবিন্যাসে, অভিনব বিশেষণে দিশাহীন নবপ্রজন্মের ভরসা-স্থল করে তুলতে চেয়েছেন কর্মযোগী বিবেকানন্দ গ্রন্থের প্রণেতা। গ্রন্থের পরিশেষে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিকভাবেই লেখক সংযোজন করেছেন স্বামীজির অমূল্য বাণী এবং তাঁর প্রতি বিভিন্ন মনীষী ও বিশিষ্টজনের উল্লেখযোগ্য অভিমত। ভগিনী নিবেদিতা, সুভাষচন্দ্র বসু, রবীন্দ্রনাথ ও মহাত্মা গান্ধি প্রমুখ বিশিষ্টজনের সশ্রদ্ধ অভিমতের আলোয় দীপিত হবেন পাঠক।
-
কালিকাপুরাণোক্ত – শ্রী শ্রী দুর্গাপূজা পদ্ধতি
প্রবীরকুমার চট্টোপাধ্যায়
দুর্গাপূজা নিঃসন্দেহে বাঙালির জাতীয় উৎসব। ধর্মীয় অনুষঙ্গের সীমাবদ্ধতা পার করে এই পূজা বৃহত্তর বঙ্গভূমির মিলনোৎসব। অথচ অধিকাংশ পূজকের কাছেই এই পূজার মন্ত্রের অর্থ অবিদিত। সংস্কৃত শিক্ষার সার্বিক অবনমন ও ক্রমাবলুপ্তিই হয়তো এর কারণ। এই অমার্জনীয় ত্রুটি পূজাকে অসম্পূর্ণ ও অসার্থক করে তোলে, যেহেতু অর্থবোধহীন মন্ত্রোচ্চারণ প্রলাপেরই শামিল। কালিকাপুরাণোক্ত দূর্গাপূজা পদ্ধতি এই প্রথম বঙ্গানুবাদসহ প্রকাশিত হল। মহামহোপাধ্যায় শ্যামাচরণ কবিরত্ন বিদ্যাবারিধি মহাশয়ের প্রদর্শিত পথে এই অনুপাদ ধর্মপ্রাণ পাঠক, নিষ্ঠাবান পূজক এবং ধর্মশাস্ত্রের অনুসন্ধিৎসু গবেষক_সকলের কাছেই এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করবে।