-
-
-
চাণক্যশ্লোক
প্রবীরকুমার চট্টোপাধ্যায়
কিংবদন্তি অনুসারে নন্দবংশের রাজা ধননন্দের দ্বারা অপমানিত ও লাঞ্ছিত হয়েছিলেন পণ্ডিত চাণক্য। অতঃপর প্রতিশোধস্পৃহায় চন্দ্রগুপ্তের সাহায্যে তিনি নন্দবংশ ধ্বংস করেন। মৌর্যসম্রাট চন্দ্রগুপ্তকে মগধের সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত করে নিজেই তাঁর মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করেন। কূটনীতিবিদ চাণক্যের এই পরিচয়টুকু জ্ঞানপিপাসু মানুষকে তৃপ্ত করে না। চাণক্যর সারস্বত কীর্তিই তাঁকে অমরত্ব দান করেছে। চন্দ্রগুপ্তের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা এই ইতিহাসপ্রসিদ্ধ মানুষটি মানুষকে ধর্মপথে রাখতে, কর্তব্যকর্মে অবিচল রাখার উদ্দেশ্যে এবং সমাজকল্যাণের সদিচ্ছায় ৬০০০ শ্লোক সংবলিত বৃদ্ধ চাণক্য নামে একটি নীতিগ্রন্থ রচনা করেছিলেন। ১৮১৭ সালে জয়গোপাল তর্কালংকার চাণক্যশ্লোকের সারভূত ১০৮টি শ্লোক সংবলিত লঘুচাণক্য নামে একটি ক্ষুদ্র পুস্তিকা প্রকাশ করেন। এই পুস্তিকার মুখবন্ধে বলা হয়েছে, ‘যা শেখামাত্র মানুষের জ্ঞানোদয় হয়, সেরূপ ১০৮টি পদ্য চাণক্য রচনা করেছেন।’ সংকলক যতদূর সম্ভব সংগ্রহ করেছেন সেই শ্লোকগুলি, প্রকৃতই যেগুলি মানুষের জ্ঞানোদয়ের পরিপূর্ণ সহায়ক। কিছু কিছু শ্লোকের তাৎপর্য-বিশ্লেষণ এ-গ্রন্থের উৎকর্ষ বৃদ্ধি করেছে।