-
-
পঁচিশটি দমফাটা হাসির গল্প (25TEE DAMFATA HANSI) – সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
মানুষ হাসতে ভালোবাসে। সেই যে কথায় বলে—আট থেকে আশি, দুঃখ ভুলে হাসি। তাই গোটা পৃথিবী জুড়ে দীর্ঘকাল ধরে লেখা হয়ে আসছে হাসির গল্প, উপন্যাস, ছড়া, কবিতা। শুধু সাহিত্যই নয়, হাসির সিনেমাও কম তৈরি হয়নি। রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘ছিন্নপত্রাবলী’-তে ৪৭ নম্বর পত্রে লিখেছেন, হাস্যরস প্রাচীনকালের ব্রহ্মাস্ত্রের মতো, যে ওর প্রয়োগ জানে সে ওকে নিয়ে একেবারে কুরুক্ষেত্র বাঁধিয়ে দিতে পারে—আর যে হতভাগ্য ছুড়তে জানে না অথচ নাড়তে যায়, তার বেলায় বিমুখ ব্রহ্মাস্ত্র আসি অস্ত্রীরেই বধে, হাস্যরস তাকেই হাস্যজনক করে তোলে। হাসির আবার রকমফেরও তো কম নেই—মিচকে হাসি, খিকখিক হাসি, হা হা হাসি, হো হো হাসি—আরও কত! আমরা দৈনন্দিন জীবনের সমস্যার টানাপোড়েনে অনেকেই হাসতে ভুলে গেছি। তাই আমরা পাঠকদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতে আয়োজন করেছি পঁচিশটি হাসির গল্পের এই সংকলন। শিবরাম চক্রবর্তী, হিমানীশ গোস্বামী, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বা তারাপদ রায়ের হাসির গল্পের সঙ্গে গ্রথিত করেছি একালের নবীন কথাকারদেরও হাসির গল্প।
-
বটতলার ভোরবেলা
জীবানন্দ চট্টোপাধ্যায়
পুঁথিপার্বণে গোলা ভরেছিল বাংলা। ‘পশ্চিম আজি খুলিয়াছে দ্বার’_ধনীর দয়ার দানে কেনা ছাপাখানায় ব্রাহ্মণ কম্পোজিটর গঙ্গার জলে ছাপার কালি গুলে পবিত্র ধর্মশাস্ত্র ছাপিয়ে_বিনামূল্যে বাইবেল বিলি করা পাদরিদের ঢঙে_বিলিয়েছেন। কিন্তু কম্পোজিটরের মাসমাইনে জোটাতে বিলেতেরই গ্রাব স্ট্রিটের পর্নোও এল বটতলার পথে পথে। ওঁচা কাগজে, ভাঙা টাইপে, ভুলে-ভরা বটতলার বই সস্তায় ছাপা শুরু হল। অন্ধভক্তির ধর্মশাস্ত্র এড়িয়ে দিনক্ষণলগ্ন খোঁজার পাঁজি, পুরোহিত দর্পণ, নিত্যকর্ম পদ্ধতি-র ভিড় হল। সময়টা উনিশ শতকের দ্বিতীয় দশক। বটতলার স্বর্ণযুগের সেটাই আরম্ভ। বাঙালির বটতলার কোনো নথিবদ্ধ, প্রামাণ্য ইতিহাস নেই, তবু কিছু তথ্য আছে, আছে কিংবদন্তীসদৃশ চালু গপ্পো, আর ছেঁড়া ছেঁড়া স্মৃতি অথবা বিস্মৃতিকথা, যা অতীতের অজানা কোনো বিন্দু থেকে শুরু হয়ে বর্তমান ছুঁয়ে প্রবহমান আগামী-র দিকে। স্মৃতি-সত্তা ভবিষ্যৎ_এসব কিছু নিয়েই বটতলার ভোরবেলা ।