-
মন্দ মেয়ের উপাখ্যান
সম্পাদনা শৈলেন্দ্র হালদার
সমাজ যাকে করে রেখেছ ব্রাত্য-নির্বাসিত, সাহিত্য তাকে করেছ বিষয়। কিন্তু মর্যাদা দিয়েছে কি? নইলে ‘বিচারক’ রচনার শতবর্ষ পরেও কেন বিচার পাননি ধরিত্রীর এই পুত্রীরা ? রবীন্দ্রনাথ থেকে প্রভাতকুমার, শরৎচন্দ্র, বিভূতি, তারাশংকর, মাণিক হয়ে শরদিন্দু, সমরেশ, সুনীল, বুদ্ধদেব ও অবশেষে তসলিমা-তৃণাঞ্জনে উপনীত এই গল্পসংগ্রহ কখনোই দেহোপজীবিনীদের নিয়ে লেখা বাংলা ছোটোগল্পের আর একটি বাজারগরম সংকলন নয়। আসলে তা যুগান্তের মুখোমুখি দাঁড়ানো মানুষকে করা মানুষের প্রশ্ন : কে মন্দ? ওরা না আমরা?
-
কথাসরিৎসাগর
মহাকবি সোমদেব ভট্ট
কথারূপ সরিৎসমূহের সাগর-ই কথাসরিৎসাগর। মহাকবি সোমদেব ভট্ট বিরচিত এই মহাগ্রন্থের স্বাদু অনুবাদ ও পুনঃকথন এই প্রথম বাংলায়। গল্পের মধ্য থেকে বেরিয়ে আসছে আর-একটি গল্প। তা থেকে আরও একটি _এরকমভাবে গল্পের প্রবাহ সৃষ্টি করেছে অসংখ্য তরঙ্গের যারা মিলেমিশে তৈরি করেছে কথাসাহিত্যের এক অতলান্ত সমুদ্র যা বহু ক্ষেত্রেই আদি ও বীভৎসরসে সিঞ্চিত। এতৎসত্ত্বেও গৃহী পাঠকের জন্য এখানে উপস্থিত হিতকথা, নীতিবাক্য ও শাস্ত্রীয় উপদেশ।
-
কথা পুরুষ
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের তিনটি উপন্যাস
কথাসাহিত্য হয়তো-বা স্রোতস্বিনী এক নদী, যার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে থাকে অচেনার আনন্দ, অজানার আহ্বান এবং দু-পারের কথামানুষের নিয়ে নানা নির্মাণ-অবিনির্মাণ। বহতা সেই স্রোতের উজান বেয়ে যদি আমরা উৎসে পৌঁছোতে চাই, চাই শীর্ষকে ছুঁতে, তবুও কি দেখা মেলে তাঁর ? উৎসারিত গদ্যের উৎসে রয়েছেন যিনি, সৃষ্টির মূল চৈতন্যময় ঈশ্বরপ্রতীম স্রষ্টা ? অন্যের অভাব পূরণ করেন যিনি, তিনিই পুরুষ। আর কথাপুরুষ হলেন সেই স্রষ্টা, যাঁর সৃষ্টিতে তন্নিষ্ঠ পাঠক খুঁজে পান এক সম্পূর্ণতা, আমাদের চেনা পৃথিবীরই আর এক প্রতিরূপ। শুরু হল কথাপুরুষ, পারুল চিরায়ত উপন্যাসসংগ্রহ। সূচনায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত তিনটি উপন্যাস_অরণ্যের দিনরাত্রি, প্রতিদ্বন্দ্বী ও দুই নারী হাতে তরবারি।
-
-
নির্বাচিত উপন্যাস (দ্বিতীয় খণ্ড)
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
তিন বন্দ্যোপাধ্যায়-উত্তর বাংলা কথাসাহিত্যে অন্যতম প্রধান স্বর, নিঃসন্দেহে, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্বাচিত দশটি উপন্যাস এখানে সংকলিত হয়েছে দুটি খণ্ডে।
-
জয়কাব্য
সৈকত রক্ষিত
এক আদিবাসী যুবতীকে কেন্দ্র করে দুই শবর-সহোদরের কলহ থেকে জন্ম নেয় যে বিরোধ, কালক্রমে তা-ই রূপ নেয় এক মহাভারতীয় যুদ্ধের। রাঢ়বঙ্গীয় পটভূমিতে সেই সংঘর্ষ ও সংগ্রামেরই মহাকাব্যিক রূপ ও উপন্যাস, যেখানে প্রাচীনের মধ্যে বিলীন হয়ে যায় সমকালীন।
-
-
-
পাঁচটি উপন্যাস
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাসের চরিত্রদের অনুভূতির অমোঘ টানাপোড়েন, হৃদয়ের গভীর উপলব্ধি আর মনের আকাঙ্ক্ষাকে ঘিরে আবর্তিত হতে থাকে কাহিনি। বাসনা রঙিন সেসব ঘটনার পাকেচক্রে কখনো মাথা তুলে দাঁড়ায় অধরা জীবন, কখনো বা চরিত্রদের মোহ আর ভালোবাসার জ্যোৎস্না-ভেজা অন্ধকারে মিটিমিটি কের হাসেন মাধুর্যময় জীবনদেবতা। শেষে বাঙ্ময় হয়ে ওঠে শাশ্বত জীবন। ‘ধূসর সময়’ কাহিনিতে আধা যৌথ পরিবারের মানুষজনকে ঘিরে প্রতিদিন রাতের খাওয়ার টেবিল হয়ে ওঠে যেন পরস্পরের কাছ থেকে মুখ দেখার আয়না। অলক পৃথিবার প্রাকৃতিক ভারসাম্য হারানোর দুশ্চিন্তার খেই ধরে পেয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত চাকরি। ‘ফেরিঘাট’-এ অমিয় রাতে যখন ঘুমোয়, তখন এক আশ্চর্য সিংহের স্বপ্ন দেখে, সিংহের ডাক শুনতে পায়। আর অন্য ঘরে হাসির চোখে ঘুম নামতে চায় না। সে এক স্টিমারঘাটের দিকে এগিয়ে যায়। যে পার্থিব জীবনকে তারা একদিন হেলাফেলা করেছিল, সেই জীবন তাকে ডাকে। জীবনের কোন ফেরিঘাটে তারা গিয়ে পৌঁছোবে? এই সংগ্রহের পাঁচটি উপন্যাস এভাবেই গ্রথিত হয়েছে, যেখানে পাঠক খুঁজে পাবেন জীবনের আশ্চর্য টানাপোড়েন থেকে উঠে আসা হীরকখণ্ডের মতো এক-একটি বেঁচে ওঠার পরমপাথেয়। সেসব ছুঁয়ে ছুঁয়ে জীবন বয়ে চলে অকূলে, অনন্তের স্রোতে পাঠককে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।