-
-
-
কর্মবীর কিশোরীচাঁদ মিত্র
₹140.00সম্পাদনা অলোক রায়
কিশোরীচাঁদ মিত্রের চরিত মন্মথনাথ ঘোষের প্রথম রচনা। রচনাটি কর্মবীর কিশোরীচাঁদ মিত্র শিরোনামে গ্রন্থাকারে ১৯২৭ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় সমগ্র রচনাটির ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। সমগ্র রচনায় বিশিষ্ট এই গ্রন্থপ্রণেতা কর্মবীর কিশোরী চাঁদকে যথার্থভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। কর্মবীর কিশোরীচাঁদ মিত্র লেখকের কথায় ‘প্রস্তাবটির পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত হইবার পর কিশোরীচাঁদ মিত্রের ত্রিশ-চল্লিশটি বক্তৃতা এবং অন্যান্য উপকরণ সংগ্রহ করিয়াছি। সেগুলির যথাযোগ্য সদব্যবহার করতে পারি নাই’। লেখকের এই আক্ষেপের কথা মনে রেখেই পুনর্মুদ্রিত এই গ্রন্থে কিশোরীচাঁদ মিত্রের যেসব রচনা ও বক্তৃতার সন্ধান পাওয়া গেছে তাঁর তালিকা সংযুক্ত করা হয়েছে। আলালের ঘরে দুলাল রচয়িতা প্যারীচাঁদ মিত্রের অনুজ কিশোরীচাঁদ মিত্রের ইংরাজিতে লেখা ডায়েরি বা রোজনামচার আংশিক ব্যবহার গ্রন্থটিকে প্রাঞ্জল করেছে। কিশোরীচাঁদের সহধর্মিনী কৈলাসবাসিনীর আত্মকথা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিকভাবে বইটির সংযোজন অংশে ব্যবহৃত হয়েছে। দুঃষ্প্রাপ্য এই রচনার পুনর্মুদ্রণ ‘শুধু কিশোরীচাঁদের জীবনীর পরিপূরক নয়, উনিশ শতকে বাঙালি সমাজের অন্তঃপুরে অন্তরঙ্গ চিত্রহিসেবে আত্মকথাটি মূল্যবান।’
-
কর্মযোগী বিবেকানন্দ
₹150.00পুরঞ্জনপ্রসাদ চক্রবর্তী
ধর্ম বলতে স্বামীজি কোনো বিশেষ মতবাদকে বোঝাতে চান কি না, সে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, ‘সব ধর্মের সংকীর্ণতা দূরীভূত করে এক উদার মানবধর্ম প্রচার করার জন্য শ্রীরামকৃষ্ণদেব ধরাধামে আবির্ভূত হয়েছিলেন_আমি শুধু সে কথাটিই প্রচার করতে চাই। আমার মতে ধর্ম যদি মানুষের অন্তরে শক্তি জোগাতে না পারে, তবে তা ধর্মই নয়।’ প্রকৃত অর্থে তথাকথিত অচলায়তন ধর্মের প্রতি প্রবল অনাস্থাতেই বিশ্বপরিব্রাজক এই সন্ন্যাসী মানবসেবার কর্মযজ্ঞে নিবেদন করেছিলেন নিজেকে। মানবতাবাদী এই মহাজনের বহু আলোচিত জীবনালেখ্যকে এক নতুন বাকবিন্যাসে, অভিনব বিশেষণে দিশাহীন নবপ্রজন্মের ভরসা-স্থল করে তুলতে চেয়েছেন কর্মযোগী বিবেকানন্দ গ্রন্থের প্রণেতা। গ্রন্থের পরিশেষে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিকভাবেই লেখক সংযোজন করেছেন স্বামীজির অমূল্য বাণী এবং তাঁর প্রতি বিভিন্ন মনীষী ও বিশিষ্টজনের উল্লেখযোগ্য অভিমত। ভগিনী নিবেদিতা, সুভাষচন্দ্র বসু, রবীন্দ্রনাথ ও মহাত্মা গান্ধি প্রমুখ বিশিষ্টজনের সশ্রদ্ধ অভিমতের আলোয় দীপিত হবেন পাঠক।
-
কালজয়ী কাদম্বিনী
₹200.00ড. সুনীতা বন্দ্যোপাধ্যয়
বাংলার প্রথম মহিলা চিকিৎসক কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কে বাঙালির অজ্ঞতা সীমাহীন। রবীন্দ্রনাথের সমবয়সী বিদূষী এই নারী চিকিৎসাবিজ্ঞানের সাধনায় যে বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন, তার তুলনা মেলা ভার। বর্তমান গ্রন্থে, প্রামাণ্য তথ্যাদি সহযোগে শুধু কাদম্বিনীর বিশ্বস্ত জীবনীই রচিত হয়নি, অনুসন্ধানী ও বিশ্লেষণী দৃষ্টিতে আলোকিত হয়েছে সমসময়ও। কাদম্বিনীর সাফল্যকে লেখিকা কোনো ব্যক্তিবিশেষের একক, মসৃণ উত্তরণ হিসেবে দেখাননি। তাঁকে স্থাপন করা হয়েছে তৎকালীন বঙ্গসমাজের দ্বন্দ্বগুলির প্রেক্ষাপটে। সেই সুবাদে নারী হিসেবে তাঁর সংগ্রামের চিহ্নগুলি যেমন ভাস্বর হয়ে উঠেছে, তেমনই মূর্ত হয়েছে তাঁর পুরুষ সহযোদ্ধাদের প্রগতিশীল ভূমিকাও। প্রসঙ্গত, তাঁর স্বামী দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা বলা যায়। সে সময়ে মেয়েদের শিক্ষাগ্রহণের বিরুদ্ধে যে-সকল অযৌক্তিক যুক্তি খাড়া করা হত, এই দম্পতি তার বিপ্রতীপে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
-
ক্ষুদিরাম
₹150.00বারিদবরণ ঘোষ
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের হাত থেকে স্বদেশকে উদ্ধার করে স্বাধীনতা অর্জনের সূচনাপর্বে যাঁরা আত্মোৎসর্গ করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য ক্ষুদিরাম বসু। বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলন সবেমাত্র সংগঠিত হয়েছে, সহিংস বা অহিংস আন্দোলনের রূপরেখা তখনও অঙ্কিত হয়নি, কিন্তু দেশকে মুক্ত করার একটা স্বপ্ন তরুণ বাঙালিরা দেখছিলেন। এ কাজে জীবন তাঁদের কাছে পায়ের ভৃত্য হয়েছিল, মৃত্যু হয়েছিল বরণীয়। সংশপ্তকের প্রতিজ্ঞা নিয়ে এঁরা গোপনে গোপনে দেশমন্ত্রে উদবুদ্ধ হয়েছিলেন। সেই মন্ত্রই ক্ষুদিরাম-প্রফুল্ল চাকী-কানাইলালদের জাগিয়ে দিয়েছিল। সেই জাগরণী মন্ত্রে দীক্ষিত ক্ষুদিরাম সঙ্গী প্রফুল্ল চাকীকে নিয়ে দূর মজঃফরপুরে ব্রিটিশ শাসনযন্ত্রের এক অপরাধীকে হত্যা করার জন্য ছদ্মনামে গিয়েছিলেন। শৈশবোচিত একটা ভুলের শিকার হয়ে তাঁরা লক্ষ্যভ্রষ্ট হন। পরিণামে প্রফুল্লের আত্মহত্যা আর ক্ষুদিরামের ফাঁসি_যে ফাঁসির যন্ত্রণা দেশকে আবার উদ্দীপনাময় করে তুলেছিল, বিকল হতে বসেছিল সমগ্র ব্রিটিশ নিপীড়নযন্ত্র। এ-বই সেই জাগরণী মন্ত্র, নিপীড়ন ও আত্মোৎসর্গের এক মহান কাহিনি।
-
বাংলার তিন গান্ধিবাদী শহিদের কথা
₹80.00অমলেন্দু দে
শচীন্দ্রনাথ মিত্র, স্মৃতীশ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুশীল দাশগুপ্ত_মহাত্মা গান্ধির অনুগামী এই তিন নেতাই শহিদ হয়েছিলেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার্থে। স্বাধীনতার অব্যবহিত পূর্ব এবং পরবর্তী দিনগুলিতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল ভারতবর্ষের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্ত। ১৯৪৬ সালের ১৫ আগস্ট মুসলিম লিগ আহূত Direct Action Day-কে কেন্দ্র করে কলকাতায় শুরু হয়েছিল ভ্রাতৃঘাতী দাঙ্গা। ক্রমে নারকীয় অবস্থা তৈরি হয় বিহার ও পূর্ববঙ্গের নোয়াখালিতে। দেশের এহেন সংকটকালে শান্তিপ্রহরীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন স্বয়ং মহাত্মা গান্ধি। শচীন্দ্রনাথ, স্মৃতীশ এবং সুশীল তাঁর নির্দেশিত পথেই হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি রক্ষার আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন। দুর্ভাগ্য আমাদের_স্বাধীন ভারতবর্ষে ঘাতকের হাতে নিহত হয়েছিলেন এই ত্রয়ী। কিন্তু দ্বিজাতিতত্ত্বকে মেনে নেননি তাঁরা, মেনে নেননি ভাইয়ে ভাইয়ে গড়ে তোলা কৃত্রিম বিভদকে। তাঁদের আত্মোৎসর্গ আজও পথ দেখায় আমাদের।
-
লতা মঙ্গেশকর
₹150.00পল্লব মিত্র
কথার সীমায় তাঁকে বাঁধা যায় না। ভাষার কারুকাজেও তাঁর যথার্থ মূল্যায়ন করা যায় না। কেননা তিনি লতা। লতা মঙ্গেশকর। জন্মসুত্রে ভারতীয় নাগরিক হলেও সমগ্র বসুন্ধরাই আসলে তাঁর বাসভূমি। ঈশ্বরদত্ত অতুলনীয় কণ্ঠস্বরের অধিকারিণী এই মানষুটির জীবন হয়তো-বা সিনেমার চেয়েও বেশি বর্ণময়, প্রাণবন্ত এবং নাটকীয় বৈচিত্রে ভরপুর। বাবা দীননাথ মঙ্গেশকরের কাছেই ছোট্ট লতার গানের প্রথম পাঠগ্রহণ। পাশাপাশি অভিনয়েও হাতেখড়ি মাত্র পাঁচ বছর বয়সে। মা, বাবা এবং তাঁরা চার বোন এক ভাই মিলে সে ছিল এক গানের বাড়ি। কিন্তু মাত্র তেরো বছর বয়সেই বাবাকে হারিয়ে কঠোর বাস্তবের মুখোমুখি হলেন লতা। শুরু হল অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম। প্লেব্যাক সিংগিং তো বটেই, অভিনয়ও করা শুরু করলেন জীবিকার তাগিদে। তাঁর কোকিলকণ্ঠী গানের জাদুতে মেতে উঠল আসমুদ্র হিমাচল। একের পর এক ছবিতে সেই যে গান গাওয়ার শুরু, তা অব্যাহত থাকল এর পরবর্তী সাত দশক জুড়ে। আর শুদু হিন্দি নয়, বহু ভারতীয় ভাষায় গান গেয়ে লতা মঙ্গেশকর অচিরেই পরিণত হলেন জীবন্ত কিংবদন্তীতে। বাংলা ভাষাতেও তাঁর গাওয়া গানের সংখ্যা কম নয়। বাঙালি শ্রোতার কাছে লতা ঘরের মেয়ে। আজ যখন পশ্চিমি প্রভাবে অন্য ধারার গানে এই উপমহাদেশ মেতে উঠেছে, তখনও অম্লান লতা মঙ্গেশকর গীত গান। এই গ্রন্থ সেই গানেরই উদযাপন। লতার সংগ্রামী জীবনের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিয়ে এখানে আমরা প্রবেশ করেছি তাঁর গাওয়া বাংলা গানের গহিনে। সেই সঙ্গে রয়েছে লতা সম্পর্কে সমসাময়িক ব্যক্তিত্বদের উচ্ছ্বাস ও স্মৃতিচারণ এবং একটি দুর্লভ সাক্ষাৎকার।