-
বাংলার তিন গান্ধিবাদী শহিদের কথা
অমলেন্দু দে
শচীন্দ্রনাথ মিত্র, স্মৃতীশ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুশীল দাশগুপ্ত_মহাত্মা গান্ধির অনুগামী এই তিন নেতাই শহিদ হয়েছিলেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার্থে। স্বাধীনতার অব্যবহিত পূর্ব এবং পরবর্তী দিনগুলিতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল ভারতবর্ষের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্ত। ১৯৪৬ সালের ১৫ আগস্ট মুসলিম লিগ আহূত Direct Action Day-কে কেন্দ্র করে কলকাতায় শুরু হয়েছিল ভ্রাতৃঘাতী দাঙ্গা। ক্রমে নারকীয় অবস্থা তৈরি হয় বিহার ও পূর্ববঙ্গের নোয়াখালিতে। দেশের এহেন সংকটকালে শান্তিপ্রহরীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন স্বয়ং মহাত্মা গান্ধি। শচীন্দ্রনাথ, স্মৃতীশ এবং সুশীল তাঁর নির্দেশিত পথেই হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি রক্ষার আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন। দুর্ভাগ্য আমাদের_স্বাধীন ভারতবর্ষে ঘাতকের হাতে নিহত হয়েছিলেন এই ত্রয়ী। কিন্তু দ্বিজাতিতত্ত্বকে মেনে নেননি তাঁরা, মেনে নেননি ভাইয়ে ভাইয়ে গড়ে তোলা কৃত্রিম বিভদকে। তাঁদের আত্মোৎসর্গ আজও পথ দেখায় আমাদের।
-
কমল কুমার
প্রশান্ত মাজী
কমলকুমার মজুমদারের শুধুমাত্র প্রকাশিত গ্রন্থ থেকে নয়, তাঁর বহু অপ্রকাশিত ও অগ্রন্থিত রচনা থেকে তথ্য আহরণ করে এই বইটি রচিত। তাই কমলকুমারের সামগ্রিক জীবন ও শিল্পীসত্তাকে জানতে এবং কমলকুমারের ধ্রুপদি রচনায় মনোনিবেশ করতে সেসব তথ্য পাঠককে অনেকটাই আলো দেখাবে। এই বই তাই কমলকুমারের লেখক ও শিল্পীজীবনে প্রবেশের এক সংক্ষিপ্ত পরিচয়-কথা। স্বাদু ও সহজ গদ্যে লেখক তুলে ধরেছেন সেই সংক্ষিপ্ত সাহিত্য–জীবন-শিল্প-কথার ধারাবিবরণ।
-
বঙ্কিমচন্দ্রের বিচারক-জীবনের গল্প
গোপালচন্দ্র রায়
সুদীর্ঘকাল ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট থাকাকালীন জীবনের অনেক আলো-আঁধারির সাক্ষী ছিলেন বিচারক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। এই গল্পসংকলনটিতে ধরা রইল সেরকম কিছু দুর্লভ কাহিনি, যা অন্য এক বঙ্কিমকে উপস্থিত করবে পাঠকের কাছে। গোপালচন্দ্র রায়ের অননুকরণীয় বৈঠকি ভঙ্গিতে বলা এই গল্পমালা বাংলা অ্যানেকডট সাহিত্যে এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।
-
-
জীবন এক আয়না
দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায়
জীবন আয়না হয়ে উঠতে পারে তখনই, যখন তার মধ্যে একইসঙ্গে থাকে প্রতিফলকের নির্ভীক ঔজ্জ্বল্য ও অতলান্ত গভীরতা। সেইরকমই এক ব্যতিক্রমী জীবনের কিছু ছেঁড়া পাতা নিবেদিত এখানে। কিংবদন্তী সংগীতাচার্য দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের অকপট আত্মকথনে ফুটে উঠেছে এক ফেলে আসা সময়ের বিষাদ ও আনন্দ মুহূর্ত।
-
নির্বাসিতের আত্মকথা
উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
নির্বাসিতের আত্মকথা উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় আত্মকথন। বিপ্লবী, শিক্ষাব্রতী, সম্পাদক তথা সাহিত্যিক উপেন্দ্রনাথ উনিশ শতকের প্রথমার্ধে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে এক বিশিষ্ট চরিত্র। মুরারীপুকুর বোমা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে দ্বীপান্তরিত হতে হয়। ঠাঁই হয় আন্দামানের কুখ্যাত জেলে। নির্বাসিতের আত্মকথা কারাবাসের সেই অন্ধকার দিনগুলিরই এক মর্মস্পর্শী বিবরণ।
-
-
-
যাঁদের রক্তে স্বাধীনতা
হরিপদ দে
উপভোগের উল্লাস আর বাজার অর্থনীতির জয়ধ্বনির দিনে আমরা প্রতিনিয়ত ভুলে যাচ্ছি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের প্রতিস্পর্ধী ক্ষুদিরাম-সূর্য সেন-প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার-ভগৎ সিং-বাঘা যতীন প্রমুখ ক্রান্তিকারীদের। এই বিস্মৃতি ক্ষমার অযোগ্য। ১৮৭৬ থেকে শুরু করে ১৯৪৭_পাঁচটি পর্বে সংঘটিত এই চরমপন্থী বিপ্লবী আন্দোলনের প্রতিটি পর্বে বিপ্লবীদের জীবনকথা ও সংগ্রামের রোমাঞ্চকর ধারাবিবরণী এই গ্রন্থের সম্পদ।
-
জীবনানন্দ
গোপালচন্দ্র রায়
জীবনানন্দের এক ভিন্নধারার জীবনী এই গ্রন্থ। জীবনীকার স্বয়ং কবির পরিচিত। ফলে একদিকে যেমন গভীর নির্জন এই কবির সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য আমাদের জানা হয়ে যায়, তেমনই ভিন্ন এক আলোয় দেখতে পারি বনলতা সেনের স্রষ্টার জীবন ও সৃজনকে।
-
-
-
মনীষী স্মরণে
শ্রীসুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
বাংলার সতেরো জন মনীষীকে নিয়ে লেখা সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মনীষী স্মরণে গ্রন্থটি বিবিধ কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এই গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথকে আমরা বিশ্লেষিত হতে দেখি তাঁর বিভিন্ন ভূমিকায়। ব্যাকরণিয়া তথা বাকপতি শ্রীরবীন্দ্রনাথই যখন বিশ্বদরবারে ভারতের দুত হয়ে প্রাচ্যের বাণীকে পৌঁছে দেন প্রতীচ্যে, তখন সুনীতিকুমার প্রদত্ত তাঁর বিস্তারিত পরিচয় পেয়ে আমাদের বিস্ময়ের অবধি থাকে না। এই সকল প্রবন্ধের রচনা প্রসঙ্গ বিবিধ। যাঁরা এখানে আলোচিত, তাঁদের প্রায় প্রত্যেকের সঙ্গেই ছিল ভাষাচার্যের আত্মিক সম্পর্ক। কিন্তু যখনই এই সকল মনীষী বিশ্লেষিত হয়েছেন সুনীতিকুমারের কলমে, তখন তাঁর আলোচনা ব্যক্তিগত ও নৈর্ব্যক্তিক পরিসর পেরিয়ে পাড়ি জমিয়েছে ভিন্ন এক নন্দনের অভিমুখে।
-
-
Memoir of Dwarkanath Tagore
Kissory Chand Mittra
Written to be read at the 27th Hare Anniversary Meeting at the Town Hall on 1 June 1870, Memoir of Dwarkanath Tagore by Kissory Chand Mittra shows how an Indian gradually rose to power in a colonial regime with his keen business acumen, political incisiveness and capacity to explore personal relationships. After a very succinct account of Dwarkanath’s birth and childhood, Mittra concentrates on Dwarkanath’s economic and socio-political ventures that would make him one of the most important and indispensable figures of the first half of the 19th century. Interestingly, Mittra’s focus is not on Dwarkanath’s business entrepreneurships. Instead, he shows how Dwarkanath manoeuvred his wealth in understanding and ushering the discourse of colonial rule in India. Historically this makes the book one of the most irresistible and best-written celebrity memoirs of the 19th century India.
-