-
-
-
-
-
নৌকা
দেবব্রত মল্লিক
নৌকার গঠন, হাল, পাটাতন, নাবিক-মাঝিমাল্লা থেকে শুরু করে বাতিঘর, ভাইকিং, ফিনিশীয় ও গ্রিক নৌযান, এমনকী সাহিত্য-সংস্কৃতি-লোকাচারে নৌকার উল্লেখ তো বটেই, নৌকার তত্ত্বতালাশ নিয়ে এমন বই বাংলায় প্রথম।
-
-
মেয়েদের ব্রতকথা
অমিত ভট্টাচার্য
ধর্মানুভূতি, গৃহজীবনের সুখ ও শান্তি এবং শিল্পচেতনাকে সংমিশ্রিত করে আর্যেতর সমাজে ও আর্যসমাজের মেয়েমহলে দেবমহিমা বিষয়ক কাহিনি বিবৃত হত। বস্তুত, ব্রতকথার কোনো নির্দিষ্ট রচনাকার নেই। আমাদের সমাজই ব্রতকথার স্রষ্টা ও সংরক্ষক। অগণিত মানুষের সমবেত চেষ্টার দরুন সমাজমানস থেকেই ব্রতকথার জন্ম। পরিবারের অন্তঃপুরে যেসকল লোকধর্মাশ্রয়ী দেবদেবীর পূজার্চনা চলে আসছিল মেয়েদের ব্রতকথা শীর্ষক গ্রন্থটিতে তা স্পষ্ট ও সরল ভঙ্গিমায় ব্যাখ্যাত হয়ে হিন্দুর সমাজ-আদর্শকে রক্ষার চেষ্টা করেছে।
-
-
যাঁদের রক্তে স্বাধীনতা
হরিপদ দে
উপভোগের উল্লাস আর বাজার অর্থনীতির জয়ধ্বনির দিনে আমরা প্রতিনিয়ত ভুলে যাচ্ছি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের প্রতিস্পর্ধী ক্ষুদিরাম-সূর্য সেন-প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার-ভগৎ সিং-বাঘা যতীন প্রমুখ ক্রান্তিকারীদের। এই বিস্মৃতি ক্ষমার অযোগ্য। ১৮৭৬ থেকে শুরু করে ১৯৪৭_পাঁচটি পর্বে সংঘটিত এই চরমপন্থী বিপ্লবী আন্দোলনের প্রতিটি পর্বে বিপ্লবীদের জীবনকথা ও সংগ্রামের রোমাঞ্চকর ধারাবিবরণী এই গ্রন্থের সম্পদ।
-
মহাসন্ধুর ওপার থেকে
প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত
সৃষ্টির আদি থেকেই ধর্ম আর সংগীত পরস্পরের সঙ্গে জড়িয়েছে এক অমোঘ বন্ধনে। মনন, চিন্তন ও বোধের ক্ষেত্রে ফলত যোগ হয়েছে অনেক মাত্রা। সভ্যতার ইতিহাসেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দেশে-বিদেশে বিকশিত হয়েছে ধর্মীয় সংগীতের ধারা। এই বই খুললে সেই ধারার উদ্ভব ও ক্রমবিকাশের এক সংক্ষিপ্ত ধারাবিবরণী তো মিলবেই, সঙ্গে প্রাপ্তি বিশ্বের প্রথম দশটি প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মীয় সংগীতের কাহিনি। এমন প্রচেষ্টা বাংলা ভাষাতে তো বটেই, পৃথিবীর অন্যান্য ভাষাতেও দুর্লভ।
-
মেদিনীপুরে দেশজ শিক্ষার ধারা
সুব্রতকুমার মাল
ব্রিটিশ শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের পূর্বে সমগ্র বঙ্গদেশে, বিশেষত মেদিনীপুরে, দেশজ শিক্ষার এক সমৃদ্ধ ধারা প্রবহমান ছিল, তা ভেঙে পড়ল কেন ? ১৮৩৫ সালের অ্যাডামস-এর রিপোর্ট অনুসারে জানা যায়, অতীতে মেদিনীপুর শিক্ষার দিক থেকে সর্বাগ্রে ছিল। তাহলে এখানে ব্রিটিশ শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের আগে কেন কালের করাল গ্রাসে এর অবলুপ্তি ঘটল ? এই গ্রন্থে আছে, প্রাক্ঔপনিবেশিক আমলে মেদিনীপুরে দেশজ শিক্ষার ধারা প্রাথমিক শিক্ষার অবস্থা, নারীশিক্ষার অগ্রগতি এবং লোকশিক্ষার অবস্থা। সেইসঙ্গে মেদিনীপুরের আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলিও বিস্তারিতভাবে আলোচিত।
-
মিথকথা
অমিত ভট্টাচার্য
অন্ধকার থেকে অন্ধকারে নয়। অন্ধকার থেকে আলোয় উত্তরণই মানবজীবনের সার্থকতা। প্রাচীন ভারতের শাস্ত্র-সাহিত্য–দর্শনই কেবল নয়, আধুনিক সাহিত্যেও যতদূর সম্ভব হয়েছে, প্রসারিত দৃষ্টি নিয়ে সেসবের মননসমৃদ্ধ দীপ্তি পাঠকের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার নিরলস প্রয়াস মিথকথা শীর্ষক গ্রন্থটিতে লক্ষণীয়। একদিকে পরম্পরাবাহিত সামাজিক ও পারিবারিক পরিবেশজনিত ভ্রান্ত ধারণা আপামর জনতাকে শিক্ষা-ডিগ্রি নির্বিশেষে এখনও কীভাবে আচ্ছন্ন করে রাখে, অপরদিকে ঋষিদের কল্পকথায় রূপকাকারে চিত্তশুদ্ধির আবাহন_এই দুয়েরই প্রতিচ্ছবি মূর্ত হয়ে উঠেছে নির্বাচিত চোদ্দোটি কাহিনিতে।
-
-
চলমান প্রসঙ্গ
চণ্ডী লাহিড়ী
শুরু সেই ১৯৫২-তে, জমছে তো জমছেই, কিংবদন্তীর পাড়াড়! কখনো নিজের দেখা বিখ্যাত ব্যক্তি, কখনো তাঁদের জীবনীর ছেঁড়াপাতা, চানাচুরের ঠোঙা, বিদেশি সাহিত্যের টুকরো সংবাদ_বহুবিচিত্র সংগ্রহ। বাংলায় Anecdote–এর বই নেই। নেই বলে, কোনোদিনই হবে না? চণ্ডী লাহিড়ী শুরু করলেন_চলমান প্রসঙ্গ_অজস্র না-জানা ঘটনা। বাংলা কার্টুনের ইতিহাস আর বাঙালির রঙ্গব্যঙ্গ-চর্চার ইতিহাস আগেই হয়েছে। এবার বাংলায় Anecdote শুরু হল_নিজের কয়েক হাজার সংগ্রহ থেকে প্রথম কিস্তি। সাহিত্য-সংগীত-ইতিহাস মহাযুদ্ধ, বিজ্ঞান ইত্যাদির সাড়ে বত্রিশ ভাজা দিয়ে শুরু। ইতিহাসের সম্মার্জনীর প্রবল প্রহারে সবই তো ডাস্টবিনে হারাতে বসেছিল। তার থেকেই কয়েকটি উজ্জ্বল উদ্ধার।
-
ছেড়ে আসা গ্রাম
দক্ষিণারঞ্জন বসু
ঠিক এই মুহূর্তে যখন সিরীয় শরণার্থীদের জন্য জার্মানি উন্মুক্ত করে দিচ্ছে দ্বার, যখন মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের নিয়েও বিশ্বময় সহানুভূতির ঝড়, তখন আমরা ভুলে যাচ্ছি পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ট্রাজিক, সবচেয়ে মর্মান্তিক অপসারণের ইতিবৃত্তকে। ১৯৪৭_১৯৫০ এই তিন বছরে এবং পরবর্তীকালে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের পূর্বে ও পরে যেভাবে লক্ষ লক্ষ বাঙালি ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে বঙ্গদেশের পূর্ব থেকে পশ্চিম অংশে চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন, বিতাড়িত হয়েছেন, উৎপাটিত হয়েছেন, তার সমতুল নজির ইতিহাসে মেলে না। দক্ষিণারঞ্জন বসু প্রণীত এই গ্রন্থে লিপিবদ্ধ হয়েছে পূর্ববঙ্গের ১৮টি জেলার ৬৪টি গ্রাম থেকে ভূমিপুত্র-কন্যাদের চলে আসার বৃত্তান্ত। গ্রন্থের দু-টি খণ্ড প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। পরবর্তীকালে পশ্চিমবঙ্গে অখণ্ড সংস্করণ প্রকাশিত হলেও খুব শিগগিরি তা পাঠকের নজরের আড়ালে চলে যায়। গ্রন্থটির তাৎপর্যমণ্ডিত এই পুনঃপ্রকাশ এপার, ওপার_উভয় বাংলার বাঙালিকেই নিঃসন্দেহে স্মরণ করিয়ে দেবে তাদের অভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিচয়ের কথা।
-
মাঝি বাইয়া যাও রে
আশিসতরু মুখোপাধ্যায়
অমর পাল লোকগানের সেই বিরল শিল্পী যাঁর কণ্ঠে গান আর শুধু গান থাকে না, হয়ে ওঠে দর্শন। ভাটিয়ালি গানের প্রবাদপ্রতিম এই শিল্পীর জীবনও তাঁর কণ্ঠ-নিঃসৃত সংগীতের মূর্ছনার মতো ব্যঞ্জনাময়। এই গ্রন্থেই প্রথম ধরা রইল তাঁর কিংবদন্তী হয়ে ওঠার দীর্ঘ ঘটনাবহুল সংগ্রামময় কাহিনি। সেই আখ্যান তাঁর গানের মতোই সরল, মোহময় ও জাদুকরি। কিন্তু কেন এ মুহূর্তে অমর পালই দুই বাংলায় লোকগানের সবচেয়ে সম্মানিত স্বর? তাঁর কণ্ঠে আছে সেই হিরণ্ময় ঐশ্বর্য, যা আমাদের রোমাঞ্চিত করে অনির্বচনীয় আবিষ্কারের পুলকে। সে আবিষ্কার শাশ্বত এক জীবনবোধকে খুঁজে পাওয়ার আনন্দে প্রোজ্জ্বল। প্রান্তিক মানুষের সহজিয়া জীবনে যে জাদু লুকিয়ে আছে, তার অপরূপ সৌন্দর্যকে আমরা চিনতে পেরেছি তাঁরই সৌজন্যে। ভাঙা নাওয়ের যাত্রী হয়ে জীবনের অকুল দরিয়ায় এই যে আমাদের অনির্দেশ ভেসে চলা, তার সূত্র তো বাঁধা আছে ওই সুরসাধকেরই মরমিয়া কন্ঠস্বরে।
-
নানা চোখে রাখাল রায়চৌধুরি
সম্পাদনা দীপককুমার ভট্টাচার্য
সৃষ্টিশীল, আত্মমগ্ন, বিনম্র কোনো মানুষ যখন কঠোর জীবনসংগ্রামের মধ্য দিয়ে সংস্কৃতিচর্চায় স্বীয় প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন, তখন নিজের অগোচরেই তিনি বদলে দিতে থাকেন তাঁর পারিপার্শ্বিককে। আর এভাবেই ক্রমে সৃষ্টি হয় এক জ্যোতির্বলয়, যার কেন্দ্রে স্বয়ং সেই জ্যোতির্ময় মানব। রাখাল রায়চৌধুরি এমনই এক ব্যক্তিত্ব। কবিতা, গল্প, নাটক, উপন্যাস, ছোটোদের জন্য লেখা_সাহিত্যের সকল শাখায় তাঁর অনায়াস বিচরণ। শিশুসাহিত্যে জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী নিরহংকার এই মানুষটির অবিস্মরণীয় অবদান ‘ত্রিপুরা কৃষ্টিসংহতি’ নামে এক মুক্ত সংস্কৃতিচর্চাকেন্দ্র স্থাপন। এই প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ত্রিপুরায় প্রগতিশীল সাহিত্য আন্দোলন এক ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। বর্তমান গ্রন্থে তিনটি পর্বে সংকলিত হয়েছে রাখালবাবুর জীবন ও সাহিত্য সংক্রান্ত নিবন্ধ ও প্রবন্ধগুচ্ছ। নিঃসন্দেহে এই আয়োজন বাংলা সাহিত্যের এক অন্যতম শ্রেষ্ঠ কুশীলবের জীবন ও কর্মের ডকুমেন্টেশন হয়ে থাকবে।
-
ঐতিহের দর্পণে চর্যাগীতি
কল্যাণীশঙ্কর ঘটক
তান্ত্রিক বৌদ্ধ সহজিয়া সম্প্রদায়ের রচনা হলেও চর্যাগীতি বাঙালির অমূল্য সাংস্কৃতিক সম্পদ। অভাব ছিল এই গ্রন্থের মেধাবী পাঠগ্রহণের উপযোগী এমন কোনো ঋদ্ধ আলোচনার, যা মূলপাঠের পাশাপাশি পাঠককে জানাবে চর্যাগীতি অধ্যয়নের রীতি-পদ্ধতি। নিঃসন্দেহে, এই বই সেই অভাব দূর করবে।
-
মনীষীদের বক্তৃতা
সম্পাদনা বারিদবরণ ঘোষ
মানুষ তাঁর ভাবভাষাকে লিপিবদ্ধ রূপ দিয়ে স্থায়িত্ব দিয়েছে। কিন্তু সে-ভাষার সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্ত, আবেগময় কথ্য ভাষার দূরত্ব কখনোই ঘোচার নয়। বক্তব্য বা বক্তৃতার বিশেষ মূল্য এ-দৃষ্টিকোণ থেকেই। আবার কখনো সে-বক্তব্যকে পূর্বেই লিখে পরে সভা-সমিতিতে রাখার রীতিও বহুলপ্রচলিত। স্বতোৎসারিত কিংবা প্রস্তুত ভাষণ_উভয় প্রকার বক্তব্যেরই একটা স্থায়ী মূল্য থেকে যদি তাতে ধরা পড়ে মানুষের চিরন্তন ভাবনা-প্রবাহ। উনিশ ও বিশ শতকের বেশ কয়েকজন মনীষীর ভাষণ একত্রিত করে প্রস্তুত এই সংকলনে পাঠক অনুভব করবেন। তদানীন্তন যুগস্পন্দন। পাশাপাশি এইসব ভাষণে মিলবে সাহিত্য, বিজ্ঞান, শিল্পকলা, সংস্কৃতি, সমাজসংস্কার, ধর্ম প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষাবহ চিন্তা ও চেতনার অনুরণন। রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র, বিবেকানন্দের অনায়াসলভ্য ভাষণ যেমন এতে গৃহীত, তেমনই স্থান পেয়েছে বহু আয়াসে উদ্ধার করা অনেক খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বের দুষ্প্রাপ্য ভাষণও।
-
লোকজ শিল্প
সম্পাদনা বরুণকুমার চক্রবর্তী
লোকজ শিল্প গ্রন্থটি লোকশিল্প সংক্রান্ত পঞ্চাশটি প্রবন্ধের সংকলন। সংকলিত প্রবন্ধগুলিকে সাতটি উপবিভাগে বিন্যস্ত করা হয়েছে। লোক চিত্রকলা পর্যায়ে স্থান পেয়েছে মোট আটটি আলোচনা। এই পর্যায়ে বাংলার আলপনা, কালীঘাটের পট, জড়ানো পটচিত্র, দেওয়াল চিত্র, চড়িদার মুখোশ, দশাবতার ভাগ, পুঁথির পটচিত্র এবং দুর্গা-লক্ষ্মীরা স্থান পেয়েছে। ধাতু নির্মিত লোকশিল্প পর্যায়ে স্থান পেয়েছে মোট পাঁচটি আলোচনা। আলোচিত বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে তাম্র শিল্প, লৌহ শিল্প, ডোকরা শিল্প, কাঁসা-পেতল শিল্প এবং বীরভূমের সেরপাই শিল্প। বাঁশ বেত ও পাঁট শিল্প পর্যায়ে মোট চারটি আলোচনাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই বিভাগে আলোচিত হয়েছে বেত শিল্প, পাট শিল্প, ত্রিপুরার বাঁশ শিল্প, নকশি ছাঁদ ও বাঁশ কারিগর। মাটি ও কাঠের লোকশিল্প-র অন্তর্ভুক্ত হয়েছে কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্প, বলাগড়ের নৌশিল্প, বাংলার মন্দির শিল্প, টেরাকোটা, দারু ভাস্কর্য শিল্প প্রসঙ্গে ছ-টি রচনা। বয়নশিল্প পর্যায়ে আলোচিত বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে নকশিকাঁথা, বাংলাদেশের জামদানি, উত্তরবঙ্গের মেচ জনগোষ্ঠীর বয়ন শিল্প, রেশম শিল্প ইত্যাদি। প্রবন্ধের সংখ্যা এই পর্যায়ে সাত। বৈচিত্রময় লোকশিল্প পর্যায়ে সর্বাধিক_মোট পনেরোটি_আলোচনাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আলোচিত বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে আমসত্ত্ব ও সন্দেশের ছাঁচ, উত্তরবঙ্গের শোলা শিল্প, মুর্শিদাবাদের গজদন্ত শিল্প, বাংলার হস্তশিল্প, তুলসী মঞ্চ, বাংলাদেশের শীতলপাটি, বড়ি শিল্প, কুসুম শিল্প, পুরুলিয়ার লাক্ষা শিল্প, চন্দননগরের শঙ্খ শিল্প ইত্যাদি। পাঁচটি প্রবন্ধকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে লোকশিল্প সম্পৃক্ত তাত্ত্বিক ভাবনা পর্যায়ে। গ্রন্থটির বৈশিষ্ট্য হল : সংকলিত রচনায় মূলত ক্ষেত্রানুসন্ধানলব্ধ অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভরতা। সেইসঙ্গে পর্যাপ্তসংখ্যক আলোকচিত্রের যোগ্য সংগত। আলোচনায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কয়েকটি নির্বাচিত অঞ্চলকে। যেমন_লাক্ষাশিল্পের জন্য পুরুলিয়া, শঙ্খ শিল্পের জন্য চন্দননগর, জামদানি ও শীতলপাটির জন্য বাংলাদেশ কিংবা গজদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদকে। আলোচকদের মধ্যে প্রবীণ গবেষক যেন আছেন, তেমনি আছেন নবপ্রজন্মের নবীন গবেষকও।