অহংকার, হে আমার, দখিন হাওয়া ও পুতুলনাচের অন্যকথা_এই তিনটি উপন্যাস নিয়ে বর্তমান গ্রন্থের রূপায়ণ। প্রথম দুটি উপন্যাসকে উপন্যাসিকা বা নভেলেট বলাই শ্রেয়। মফস্সলবাসী এক যুবার একক সংগ্রাম ও আত্মপ্রতিষ্ঠার প্রয়াসের কাহিনি আখ্যায়িত হয়েছে সেখানে। তৃতীয় উপন্যাসটি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুতুলনাচের ইতিকথা-র নবনির্মাণ। এই উপন্যাসে এক নারীর আত্মসুখ, আত্মগর্ব ও সেইসঙ্গে ব্যর্থতা ও নিঃসঙ্গতা প্রতিভাত হয়েছে মর্মস্পর্শীভাবে। তিনটি উপন্যাসেই বিশেষভাবে প্রতীয়মান জীবনের সত্য ও বাস্তবতা। কিন্তু সেই সত্যের সঙ্গে যখন মিলে যায় কবির অনুভব, সৃষ্টি হয় ভিন্নধর্মী এক উপন্যাস-ভাষা ও বোধের।
অধ্যাপক তরুণ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৫৬ সালে মুর্শিদাবাদ জেলার ইন্দ্রাণী গ্রামে। স্নাতক (সান্মানিক) ও স্নাতকোত্তর বাংলায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম। পিএইচডি ডিগ্রিলাভ ‘বাংলা কাব্যনাট্য : রূপ ও রীতি’ নিয়ে গবেষণার জন্য। অধ্যাপনা বৃত্তিতে নিয়োজিত তিন দশকেরও বেশি সময়। বর্তমানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অন্যতম বরিষ্ঠ অধ্যাপক। প্রিয় কবি রবীন্দ্রনাথ ও জীবনানন্দ। তাঁদের কবিতা তাঁর চর্চার প্রিয় বিষয় হলেও সামগ্রিকভাবে কবি ও কবিতা নিয়ে লিখতে ও বলতে। বাদ যায় না আধুনিক কবিতা, নন্দনতত্ত্ব, তুলনামূলক সাহিত্য এবং নাটক-কাব্যনাটক প্রসঙ্গও। মৌলিক ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা একশো ত্রিশ অতিক্রান্ত। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : ‘হরগৌরী’, ‘কানুগরবিনী’, ‘মেঘ-রোদ্দুরের গল্প’, ‘অনুগল্পগুচ্ছ’, ‘কোনো এক মানুষীর তরে’, ‘কুকুর-দর্পণ’। ‘আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন স্মারক’ সুবর্ণ পদক ছাড়াও শ্রীমুখোপাধ্যায় সম্মানিত হয়েছেন ‘সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় স্মারক সম্মান’-সহ বহু সম্মাননা ও পুরস্কারে। পছন্দ করেন কবিতা পাঠ করতে এবং রবীন্দ্রসংগীত শুনতে।
Reviews
There are no reviews yet.