ছোটো রেল নিয়ে লেখকের প্রায় দু-দশক ব্যাপী চর্চা ও গবেষণার ফসল এই বই। শৈশবে মায়ের হাত ধরে ভাইয়ের সঙ্গে মার্টিন রেলে চড়ার স্মৃতিই তাঁকে এই চর্চায় প্রণোদিত করেছে। ছোটো রেলপথ চালু করার ক্ষেত্রে এ রাজ্যে শুধু মার্টিন কোম্পানি নয়, ম্যাকলিয়ড অ্যান্ড কোম্পানিও বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল। সে-সবই এখন প্রায় ইতিহাস। হারিয়ে যাওয়া রেলপথের লুপ্ত ইতিহাসই শুধু নয়, এই প্রথম ভারতবর্ষের নানা প্রান্তের ছোটো রেলের চালচিত্র অঙ্কিত হল কোথাও।
রমেশ দাস শৈশব থেকে চিত্রশিল্পে স্বশিক্ষিত হলেও তারুণ্যে তালিম নেন ভোলানাথ রায়চৌধুরী (পণ্ডিচেরি) ও আশুতোষ জোয়ারদার (রবীন্দ্রভারতী)-এর কাছে। ছোটোগল্প লিখে বিগত শতাব্দীতে বিকাশ সাহিত্য পুরস্কার লাভ। চলতি শতাব্দীর ২০০৪_২০১০-এ ছোটোগল্প ও অন্যান্য রচনায় টুকলু পুরস্কার প্রাপ্তি। তিতাস, কুসুমকলি, ইস্টিশান, ভ্রমী পত্রিকায় দায়িত্বভার নানা সময়ে। যৌবনের প্রারম্ভে দু-একটি যাত্রা-থিয়েটারে অভিনয়। কলকাতা তথ্যকেন্দ্রের গগনেন্দ্র শিল্পপ্রদর্শনশালায় এ-যাবৎ পরপর আটবার ভ্রমণ বিষয়ক আলোকচিত্রের যৌথ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ। কাঁচরাপাড়া নৃত্যনাট্য সংস্থার একদা নেপথ্য সংলাপ-শিল্পী এই লেখক ছিলেন বেলুড় মঠ রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তন ছাত্র। বর্তমানে কলকাতার ট্রাভেল রাইটার্স ফোরামের সঙ্গে যুক্ত এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সিঞ্চন-এর সদস্য। ভ্রমণ ও পর্যটন বিষয়ে রমেশ দাস একটি পরিচিত নাম।
Reviews
There are no reviews yet.