অভিরাম এক কাল্পনিক সাধারণ মানুষ। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বিগত শতাব্দীর সাতের দশক থেকে তার বসবাস। অনুপম এই কাব্যোপন্যাসে বিদ্ধৃত হয়েছে তাঁরই জীবনচিরত। ১১০টি চতুর্দশপদী কবিতায় লেখা এমন উপন্যাস শুধু বাংলা নয়, যে-কোনো ভাষার সাহিত্যেই বিরল।
অধ্যাপক প্রভাসচন্দ্র ধর। জন্ম ১৯৪০ সালে, বাংলাভাষী এক প্রত্যন্ত গ্রামে। ছেলেবেলা কেটেছে গ্রাম্য, অশিক্ষিত, সমসংখ্যক হিন্দু ও মুসলমান বন্ধুবান্ধব নিয়ে। ১৯৬৮ সাল থেকে আগরতলায় কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছেন ইংরেজি সাহিত্য ও ভাষাতত্ত্ব। বত্রিশ বছর কেটেছে শিক্ষকতায়। অবসর নিয়েছেন ২০০০ সালে। তার পর থেকেও পাঠ দেওয়া চলছে ‘গীতা’, ‘মহাভারত’, ‘ভাগবত’ ইত্যাদি আগরতলায় ও অন্যত্র। পর্যটন হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড প্রভৃতি দেশে ও স্বদেশে ব্যাপকভাবে। লেখা হয়েছে অগুনতি পাঠ্যপুস্তক_ইংরেজি টেক্সট ও গ্রামার বই, ককবরক ব্যাকরণ আর সাহিত্য; কিছু অনুবাদ, কিছু সম্পাদনা এবং কিছু মৌলিক রচনা। ‘ককবরক’-এ পদ্যে অনূদিত হয়েছে ছত্রিশ হাজার ছত্রের বাংলা কৃত্তিবাসী ‘রামায়ণ’। লেখা হয়েছে ‘ককবরক’এর প্রথম ভাষাতত্ত্ব ভিত্তিক ব্যাকরণ_‘ককবরক সৌরৌঙমা’, সম্পাদিত হয়েছে ককবরক-বাংলা-ইংরেজি ত্রিভাষিক অভিধান ‘কককুথুমমা’ ইংরেজি পদ্যে অনূদিত হয়েছে ত্রিপুরার ‘রাজমালা’র তৃতীয় লহর, বাংলায় লেখা হয়েছে ভ্রমণকাহিনি ‘উলট পুরাণের দেশ’_ ‘আমেরিকার কথা’, ‘দেশে বিদেশে পথে প্রবাসে’, হয়েছে গবেষণামূলক রচনা গঙ্গা_দেবী ও নদী, হয়েছে দশ হাজার ছত্রের কাব্যগ্রন্থ শ্রীশ্রীসারদামঙ্গল কাব্য, উপন্যাস ডক্টর কান্তনী, গল্পগ্রন্থ মনের জানালায়, জীবনীগ্রন্থ ‘জ্যোতির্ময়’, ধর্মের কথা ‘ধর্মজিজ্ঞাসা_সর্বধর্ম পরিচয়’ এবং ‘অভিরামায়ণ’।
Reviews
There are no reviews yet.